ঢাকাTuesday , 16 May 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে ছাড় আসছে

Link Copied!

আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেটে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের জন্য সুখবর আসছে। যাঁরা দুঃসময়ের জন্য সঞ্চয়পত্র কেনেন কিংবা সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় সংসারের খরচ চালান তাঁদের জন্য কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে আসন্ন বাজেট। আবার বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ার ঝক্কিঝামেলা কমতে পারে।

বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে আগের বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দেওয়া আয়কর রিটার্নের অনুলিপি দেখাতে হয় না। এ ক্ষেত্রে নতুন বাজেটে ছাড় পাচ্ছে সঞ্চয়পত্র কেনা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে পাঁচ লাখ টাকার সীমা কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। এই সীমা বাড়িয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করা হতে পারে। এর ফলে আগামী দিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে গেলেও রিটার্নের প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক হবে না।

দেশের বিপুলসংখ্যক মধ্যবিত্ত পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দিয়ে সংসার খরচের একটি অংশের জোগান দেয়। তাদের বেশির ভাগেরই করযোগ্য আয় নেই। তাদের শুধু সঞ্চয়পত্র থাকার জন্য সারা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জানিয়ে রিটার্ন জমা দিতে হয়। আগামী বাজেটে এমন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর আসতে পারে বলে জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকার মধ্যবিত্তদের সঞ্চয়পত্র কেনায় উৎসাহিত করতে এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে সঞ্চয়পত্র ভাঙানো হচ্ছে বেশি। দেশে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের কেনা সঞ্চয়পত্র ভেঙে সংসারের খরচ চালাচ্ছেন অনেকে। এর ফলে সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রি কমে গেছে।

তথ্য–উপাত্ত বলছে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বেচাকেনা সমন্বয় করে সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। এর মানে তখন সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার ওই পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে পেয়েছিল।

চলতি অর্থবছরের একই সময়ের উল্টো চিত্র দেখা গেছে। এবারে কেনার চেয়ে ভাঙানোর হার বেশি। তা সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রি নেতিবাচক হয়ে গেছে, যা পরিমাণে ৬৫২ কোটি টাকা।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।