ঢাকাWednesday , 17 May 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড

বিনিয়োগ বাড়লে রপ্তানিতে সম্ভাবনা জাগাবে মসলিন

Link Copied!

দেশের তৈরি ঢাকাই মসলিনের গৌরব একসময় সারা বিশ্বে ছিল। বিভিন্ন কারণে প্রায় ১৭০ বছর আগে এই গৌরবময় ঢাকাই মসলিন হারিয়ে যায়। তবে ২০১৮ সালে মসলিন পুনরুদ্ধারে সরকারের নেওয়া নতুন উদ্যোগের ফলে আবারও ঢাকাই মসলিন বিশ্ব মাতাবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

তাঁত বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। বিনিয়োগকারীদের এসব সফলতা ও সম্ভাবনার কথা জানাতে আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সেমিনারের।

তাঁরা জানান, কারিগরি, বাণিজ্যিক ও নীতি সহায়তা দিতে সরকার প্রস্তুত। এ ছাড়া মসলিনের প্রধান কাঁচামাল বিশেষ তুলা উৎপাদন করে কিভাবে কৃষকরা প্রচলিত কৃষি থেকে অধিকতর লাভবান হবে এবং সম্ভাব্য রপ্তানি পণ্য হিসেবে বিশ্ববাজারে এর সম্ভাবনাও তুলে ধরা হবে এই সেমিনারে।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনের সুতা তৈরির প্রযুক্তি ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধারে প্রকল্প নেওয়া হয়। এরই মধ্যে ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা, ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন এবং কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড মসলিন সুতা তৈরির তুলার জাত উদ্ঘাটন এবং তুলা দিয়ে ৩০০ থেকে ৭৫০ কাউন্টের সুতা তৈরিসহ মসলিন শাড়ি তৈরির প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে। দেশের সাধারণ তাঁতিদের মধ্যে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভায় ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’ স্থাপন করা হয়েছে।মসলিনের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে এই প্রকল্প ‘জনপ্রশাসন পদক-২০২১’ লাভ করেছে। এই প্রসঙ্গে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী কালের কণ্ঠকে বলেন, মসলিন শাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও শ্রমসাধ্য কাজ। একটি মসলিন শাড়ি তৈরি করতে প্রথমে সুতা উৎপাদন করতে হয় এবং পরে বুনন কাজ চলে। একটি মাঝারি মানের মসলিন শাড়ি তৈরি করতে সাত-আট মাস লেগে যায়। ফলে শাড়ির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।তিনি বলেন, এ জন্য বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে মসলিনের স্বকীয়তা ঠিক রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে প্রযুক্তি ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করা হবে। আর এটা সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হলে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিন সুতা ও কাপড় পুনরুদ্ধার এবং এই খাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সচিব মো. ইউসুফ আলী বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মসলিন প্রকল্পে আকৃষ্ট করতে আজ সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে জানানো হবে কেন মসলিনে বিনিয়োগে বিপুল সম্ভাবনা আছে। মসলিন তৈরিতে প্রধান কাঁচামাল ফুটি কার্পাস তুলা উৎপাদন করে প্রচলিত কৃষিপণ্য উৎপাদনের চেয়ে বেশি আয় করবেন কৃষকরা। একটি মসলিন শাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়বে সাত থেকে ৯ লাখ টাকা। এর রপ্তানি মূল্য কয়েক গুণ বেশি। ফলে উদ্যোক্তারাও বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন।

বিমান চলাচল চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু

বাংলাদেশ থেকে আরো ফ্লাইট চাই, ইউএইর চার বিমান সংস্থা

 নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ থেকে আরো ফ্লাইট চাই, ইউএইর চার বিমান সংস্থা
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতের মধ্যে বিদ্যমান বিমান চলাচল চুক্তির আওতায় যোগাযোগ বৃদ্ধি, চুক্তিটি আরো যুগোপযোগী করা ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৫ মে) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ফ্লাইট চলাচলের বিষয়ে দুই দিনের আলোচনায় এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) চারটি এয়ারলাইনস। সম্মতি পেলে সংস্থাগুলো বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করতে পারবে। চারটি এয়ারলাইনস হলো এমিরেটস, ইতিহাদ, ফ্লাই দুবাই ও এয়ার অ্যারাবিয়া। তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনাকে এভিয়েশন খাতের পরিভাষায় ‘ফিফথ ফ্রিডম’ বলা হয়।

প্রথম দিনের আলোচনায় ইউএইর পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক সাইফ মোহম্মেদ আল সুওয়াইদি। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

এছাড়া ইউএইর পক্ষে দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এবং দুবাই, শারজাহ, রাস আল খাইমাহ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ তাদের বিভিন্ন এয়ারলাইনসের ২২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র আরো জানায়, এমিরেটস এয়ারলাইনস বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় যেকোনো দেশে বাধাহীনভাবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের অনুমতি চায়। এছাড়া ঢাকা থেকে সপ্তাহে আরো ৭টি এবং সিলেট থেকে তিনটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চায়। ফ্লাই দুবাই ফিফথ ফ্রিডমের অনুমতি নিয়ে ঢাকা-ব্যাংকক, ঢাকা-কুনমিং, চট্টগ্রাম-ব্যাংকক এবং চট্টগ্রাম-কুনমিং পথে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়।

এছাড়া প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে আরো ১৪টি, চট্টগ্রাম থেকে ১৪টি এবং সিলেট থেকে ১৪টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চায়। আর ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ঢাকা থেকে হংকং রুটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে আগ্রহী। একই সঙ্গে বর্তমান ফ্লাইট সংখ্যার পাশাপাশি ঢাকায় আরো ৭টি যাত্রীবাহী ও ২টি কার্গো ফ্লাইট চালাতে চায়।

এদিকে এয়ার অ্যারাবিয়া ঢাকা-করাচি রুটে যাত্রীবাহী ও ভারতে কার্গো ফ্লাইট চালাতে অনুমতি চায়। তারাও প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে আরো ১৪টি, চট্টগ্রাম থেকে ৭টি এবং সিলেট থেকে ৭টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চায়।

ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ প্রতি মাসেই বাড়ছে

১০ মাসে ঋণ নিয়েছে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা
 নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ প্রতি মাসেই বাড়ছে
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার ব্যাংক খাত থেকে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাকি সাত হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে বেসরকারি ব্যাংক থেকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বাইরে ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে সরকার আট হাজার ৮৪১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ৯০ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বর্তমানে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এর ফলে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে। এতে ব্যাংক খাতের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কারণ কোনো ব্যাংকেই তারল্য সংকট নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঋণ নিচ্ছে। এ ছাড়া সরকারের নিজস্ব আয় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত সময়ে ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ৫২ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। আর এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দিয়েছে সাত হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা।

এর আগে চলতি অর্থবছরের আগস্ট শেষে ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছিল দুই লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এর পরের মাসে ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় দুই লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকায়। নভেম্বর মাসে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিল দুই লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকায়। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর শেষে যার পরিমাণ ছিল তিন লাখ দুই হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। এপ্রিলে এসে যার পরিমাণ দাঁড়ায় তিন লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। অর্থাত্ চলতি বছরের চার মাসে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ স্থিতি বেড়েছে ৫৩ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মাসেই ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বাড়ছে।

এপ্রিল মাস শেষে ব্যাংক খাত থেকে সরকার মোট ঋণের মধ্যে এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। এ ছাড়া দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে নিয়েছে দুই লাখ ২১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।

এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংকঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাত্ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য সরকারের।

এদিকে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকেও ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

প্রাসঙ্গিক

সর্বশেষ সংবাদ

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।