চীনের অর্থনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার জাপানের হিরোশিমায় পৌঁছেছেন জি-৭ নেতারা।
সম্মেলনটি যুদ্ধের ভয়াবহ পরণতির কথা স্মরণ করবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তার নিজ শহর হিরোশিমায় অপর ছয়টি ধনী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নেতাদের আতিথেয়তা করবেন। খবর এএফপির।
১৯-২১ মে’র তিন দিনের সম্মেলনের আগেরদিনই হিরোশিমায় পৌঁছে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিমানবন্দরে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
সম্মেলনে রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা করবেন বিশ্ব অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি এই সাত দেশের নেতারা।
বাখমুত ও অন্যান্য ফ্রন্টলাইন শহরে দীর্ঘ শীতকালীন যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক পরিণতির পটভূমিতে শুরু জি-৭ সম্মেলনে আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে ইউক্রেনে রাশিয়ার ১৫ মাসের আগ্রাসন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় সহায়তার জন্য যথেষ্ট অস্ত্র সরবরাহ করলেও কিয়েভ বাহিনীর একটি দীর্ঘ-প্রত্যাশিত বসন্ত পালটা হামলা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে এই গ্রুপকে সম্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সুলিভান বলেন, নেতারা রাশিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আরও নিবৃত্ত করার দিকে মনোনিবেশ করবেন। আলোচনা রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা আরও কঠোর করবে। সুলিভান বলেন, নিষেধাজ্ঞার অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এবং জি-৭ সম্মিলিতভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পদক্ষেপগুলো নিয়েও আলোচনা করবে। প্রয়োগকারী সমস্যাকে কেন্দ্র করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ জি-৭ বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকবে।