কিশোরগঞ্জ আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডের পাবলিক টয়লেট থেকে মো. কামরুল ইসলাম (৩৪) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
কামরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের বুড়িরচর গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পরে মরদেহের পকেটে থাকা মানিব্যাগ থেকে এনআইডি কার্ডের ফটোকপির সূত্রে তার পরিচয় পাওয়া যায়। সঙ্গে একটি মোবাইল ফোনও ছিল।
কিশোরগঞ্জ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জানান, আমরা জানতে পারি কোনো এক ব্যক্তি বাসস্ট্যান্ডের পাবলিক টয়লেটের পড়ে রয়েছেন। পরে পুলিশকে ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।ফায়ার সার্ভিস এসে টয়লেটের দরজা কেটে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি বাস স্ট্যান্ডেরই কোনো বাসের শ্রমিক বলে জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী জানান, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। টয়লেটের দরজা কেটে মরদেহ উদ্ধার করি।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, টয়লেটের দরজা কেটে মরদেহ উদ্ধারের পর তার পকেটে থাকা মানিব্যাগে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি পাওয়া যায়। এখান থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার নাম কামরুল ইসলাম। এনআইডি কার্ডের সূত্রে পাওয়া পরিচয়ে তার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খবর দেওয়া হয়েছে। মরদেহ এখন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।