আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশ স্থানীয় মুদ্রায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য শুরু করবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা স্পুৎনিককে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। আর এশিয়া মহাদেশের মধ্যে নয়াদিল্লি হচ্ছে ঢাকার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ‘জাতীয় মুদ্রায় কবে থেকে লেনদেন শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে আমরা আশা করছি এক বা দুই মাসের মধ্যে তা শুরু হবে।’
মেজবাউল হক উল্লেখ করেছেন, ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বেঙ্গালুরুতে জি-২০ দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠকের পার্শ্বরেখায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ও রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ভারতীয় রুপি এবং বাংলাদেশি টাকায় বাণিজ্য নিষ্পত্তি বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমাবে এবং লেনদেনের ব্যয় কমিয়ে আনবে।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রধান মুদ্রা মার্কিন ডলার। মার্কিন ডলার নিজ নিজ জাতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত হয়, যে প্রক্রিয়াটি বিনিময় বাজারের ক্ষতি করে।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আরো মনে করেন, স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহার করা হলে ভ্রমণের ব্যয়ও কমবে। বহু বাংলাদেশি পর্যটন, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি কাজে ভারত সফর করে থাকে।
গত বছর মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট বাণিজ্য বাধার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি মার্কিন ডলার থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য চালু করার বিষয়টি এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ভারত ছাড়াও চীনের মতো অন্যান্য বড় অর্থনীতি এবং অনেক ছোট ও মাঝারি আয়ের দেশও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এবং ভবিষ্যতের অন্যান্য বাধা থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্যের বিকল্পটি সক্রিয়ভাবে অনুসরণ করছে।