ঢাকাWednesday , 24 May 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জনবল সরঞ্জাম ঘাটতি, কাহিল ফায়ার সার্ভিস

Link Copied!

অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও দুর্বল অবকাঠামোর কারণে ঢাকাসহ সারা দেশের হাজার হাজার স্থাপনা মারাত্মক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। সেই তুলনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রস্তুতি অতি সামান্য।

অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি দশকেই সংস্থাটির সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়লেও একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ইমারত ও জনসংখ্যা। ফলে পিছিয়ে গেছে ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি। স্টেশনগুলোয় পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম দিতে পারেনি সংস্থাটি।প্রত্যাশিত বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ পাননি অধিকাংশ কর্মী। এতে কাহিল অবস্থায় রয়েছে সংস্থাটি। বছরের পর বছর মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে নিজস্ব কৌশল কাজে লাগিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজ করছেন তারা। এভাবে কাজ করতে গিয়ে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এমন বাস্তবতায় রাজধানী শহরকে প্রাধান্য দিয়ে সারা দেশের অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাটির জনবল, ফায়ার স্টেশন, গাড়ি-সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নীতিমালা অনুযায়ীও বাহিনীটি প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেনি। দেশে বর্তমানে ন্যূনতম ৭৩৫টি ফায়ার স্টেশন প্রয়োজন। এসব স্টেশনের বিপরীতে ৩১ হাজারেরও বেশি জনবল প্রয়োজন। বর্তমানে ফায়ার স্টেশন আছে মাত্র ৪৯৫টি। এর বিপরীতে জনবল আছে মাত্র ১৪ হাজার ৪৬৮ জন। এর মধ্যে অপারেশনাল কর্মী ১৪ হাজার ১৯ জন এবং সিভিল স্টাফ ৪৪৯ জন। চালু থাকা স্টেশনেই জনবল থাকার কথা ১৬ হাজার ২৩১ জন। অর্থাৎ ঘাটতি আছে ১ হাজার ৭৫৭ জন। দেশে বিদ্যমান ফায়ার স্টেশনগুলোয়ই অগ্নিনির্বাপণের জন্য গাড়ি-সরঞ্জাম থাকার কথা ২৮ হাজার ২২৩টি। অথচ সবমিলিয়ে তাদের ৪৪ ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জাম রয়েছে ১৬ হাজার ৭৬৯টি। এর মধ্যে অনেক সরঞ্জাম অগ্নিনির্বাপণের কাজ করতে গিয়েও অকেজো হয়েছে। সেই হিসাব বাদ দিলেও ৪৯৫টি স্টেশনেই সাজসরঞ্জামের ঘাটতি আছে অন্তত ১১ হাজার ৪৫৪টি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ঘাটতি বাড়ছেই।ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী জনবল ও গাড়ি-সরঞ্জাম কম আছে। সরকার থেকে এই সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের বলা হয়েছে। আমারা ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠাব। জনসংখ্যা ও ইমারত বৃদ্ধির সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশ যেভাবে উন্নত হচ্ছে, এজন্য আমাদের উন্নত বিশ্বের মতো আরও ফোর্স দরকার। আমরা মডার্নাইজেশনের জন্য কাজ করেছি। মন্ত্রণালয়ে অর্গানোগ্রাম জমা দেওয়া আছে প্রায় এক বছর আগে। যেখানে আমাদের জনবল হবে ৩১ হাজার। আমরা হিসাব করে দেখেছি, ৪৬৪টি উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মতো শিল্প এলাকাকেন্দ্রিক শহর, বেপজা, বেজা, ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গার জন্য ন্যূনতম ৭৩৫টি স্টেশন প্রয়োজন। প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি অকপটে স্বীকার করি, প্রশিক্ষণের ঘাটতি আছে।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাহিনীটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সালে অনুমোদিত জনবল ছিল ৩ হাজার ৮৮৩ জন। এরপর ১৯৮৪-১৯৯৩ পর্যন্ত জনবল হয় ৪ হাজার ১৭৪ জন, ১৯৯৪-২০০৩ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৬২ জন, ২০০৪-২০১৩ পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৫০ জন এবং ২০১৪ থেকে বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৮ জনে। ফায়ার স্টেশনের হিসাবে দেখা যায়, ২০১২ থেকে বর্তমানে সারা দেশে তাদের ৪৯৪টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। এই সংখ্যা ১৯৮১ সালে ছিল ৯০টি। ১৯৮২-১৯৯১ সালে বেড়ে হয়েছে ১০৯টি। ১৯৯২-২০০১ সালে ছিল ১২২টি, ২০০২-২০১১ সালে ২২৭টি স্টেশন ছিল। ফায়ার স্টেশনের নীতিমালা অনুযায়ী, বাহিনীটির বিদ্যমান সব জনবল ও সরঞ্জাম স্টেশনগুলোয় থাকলেও তাও পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো-এই জনবলের বড় অংশ ফায়ার স্টেশনগুলোর বাইরেও বিশেষায়িত বিভিন্ন স্থানে কাজ করে

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।