ঢাকাWednesday , 24 May 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বনাম বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

Link Copied!

গত প্রায় এক বছর ধরে সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি একটি নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তুলনামূলকভাবে কোথাও কম, কোথাও বেশি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত নীতি সুদহার বাড়িয়েছে।

মূল্যস্ফীতির চাপ কমলেও তিনটি ব্যাংক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে-সোজা কথায় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এসব ব্যাংক ততটা বড় ছিল না। অন্য বৃহৎ ব্যাংক এদের কিনে নিয়েছে। সে দেশের উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের গতি কমেছে এবং ভোগ চাহিদায় টান পড়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯-১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি পর্যায়ক্রমে ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন-যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ইত্যাদি দেশেও মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপর থেকে বর্তমানে ৫-৭ শতাংশে নেমে এসেছে।

২০২৩ সালের এপ্রিলে জার্মানির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ, ডেনমার্কের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, ফ্রান্সে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইতালিতে ৮ দশমিক ১ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ভোক্তামূল্য সূচক অনুযায়ী হার ১০ দশমিক ১ শতাংশ, তবে বার্ষিক হার ৫.৭ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসের মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, স্পেনের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, নরওয়ের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। বর্তমানে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি তুরস্কে-৪৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ, হাঙ্গেরিতে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ, লাটভিয়ায় ২০ দশমিক ১ শতাংশ, চেক প্রজাতন্ত্রে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

ভারতের গত মাসের মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, পাকিস্তানের কোর মূল্যস্ফীতির হার ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ। সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতিতে আর্জেন্টিনা সম্ভবত সর্বোচ্চ-এপ্রিলে ১০৮ দশমিক ৮ শতাংশ। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ইত্যদি দেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভালো অবস্থানে রয়েছে (৩-৪ শতাংশ)।

বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি গত বছর আগস্টে সাড়ে ৯ শতাংশে উঠেছিল, যা ছিল গত ১১ বছরে সর্বোচ্চ। তারপর থেকে ৮-৯ শতাংশে ওঠানামা করেছে। এ বছর এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি আবার বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে বেসরকারি থিংক ট্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশ অতিক্রম করেছে। জ্বালানি মূল্যস্ফীতি আরও বেশি। এবারের মূল্যবৃদ্ধির আরও একটি বৈশিষ্ট্য হলো-শহরের চেয়ে গ্রামের মূল্যস্ফীতি বেশি। এর প্রধান কারণ শহরে দ্রব্যাদির সরবরাহ ও চাহিদা উভয়ই বেশি।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।