সিলেটে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। অবশ্য কোনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এদিকে বর্ষা শুরু হলেও নেত্রকোনার হাওরগুলোতে এখনো পানির দেখা নেই।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে টানা কয়েক দিন ধরে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় সেখানে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে গত বৃহস্পতিবার সকালে ১০ দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর সিলেট পয়েন্টে বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও গতকাল সকালে ৯ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।পাউবো সূত্র আরও জানায়, কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। গতকাল সকালে সেখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৯ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটারে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ৮ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। নদীর শেরপুর পয়েন্টে ৫ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পিয়াইন নদের জাফলং পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকালে ১০ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও গতকাল সকালে তা ১০ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। সেখানে গতকাল সকালে ১১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে ১০ দশমিক ৪০ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৩৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার এবং সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সিলেটে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।