তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন। একই সঙ্গে তারা আগামী রোববারের মধ্যে চলতি মাসের মজুরি ও ঈদ বোনাস এবং জাতীয় সংসদে উত্থাপিত অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল ২০২৩ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের ব্যানারে আজ মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার। সঞ্চালনা করেন গার্মেন্ট ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান।
সমাবেশে শ্রমিকনেতারা বলেন, পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে বাজার পরিস্থিতি ও শ্রমিক পক্ষের দাবি উপেক্ষা করে পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। শ্রমিকের জীবন বাঁচানোর পদক্ষেপ হিসেবে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম তাই দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এ সময় তাঁরা শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানান।
শ্রমিকনেতারা আরও বলেন, আগামী রোববার অর্থাৎ ২৫ জুনের মধ্যে চলতি মাসের বেতন ও ঈদের পূর্ণাঙ্গ বোনাস পরিশোধ করা না হলে ঈদের আগে শ্রমিকদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হবে। তাঁরা মূল বেতন বা বেসিকের সমপরিমাণ অর্থ ঈদ বোনাস দেওয়ারসমাবেশে বক্তব্য দেন গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এফ এম আবু সাঈদ, ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দুলাল সাহা প্রমুখ।সমাবেশ থেকে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ধর্মঘট নিষিদ্ধের বিধানসংবলিত অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল ২০২৩ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান শ্রমিকনেতারা। তাঁরা বলেন, সরকার শ্রমিকদের সবটুকু গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার মধ্য দিয়ে দেশের শ্রম খাতকে যে সীমাহীন জুলুম-নির্যাতনের ক্ষেত্রে পরিণত করতে যাচ্ছে, তা সর্বাত্মক শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা হবে।