এবারের ঈদে এক কোটি পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন সাভারের চামড়াশিল্প নগরের ব্যবসায়ীরা। আর এই চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে চামড়াশিল্প নগরের ১৪২টি ট্যানারি প্রয়োজনীয় লবণ, রাসায়নিক দ্রব্য ও অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে এখন প্রস্তুত রয়েছে।
তবে সাভার চামড়াশিল্প নগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় প্রতিবছরের মতো এবারও পরিবেশ ও নদীদূষণের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন কিছু ট্যানারিমালিক। তাঁদের যুক্তি, সিইটিপির দৈনিক তরল বর্জ্য পরিশোধনের ক্ষমতা ২৫ হাজার ঘনমিটার। কিন্তু কোরবানির সময় তরল বর্জ্য উৎপাদিত হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ঘনমিটার। অর্থাৎ সিইটিপির ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রতিদিন বর্জ্য ৫ থেকে ১০ হাজার ঘনমিটার বেশি হবে। তাই অতীতের মতো এবারও বাড়তি তরল বর্জ্য পরিশোধন ছাড়াই চামড়াশিল্প নগরের পার্শ্ববর্তী ধলেশ্বরী নদীতে গিয়ে পড়বে। এতে নদীসহ পরিবেশদূষণের জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, সিইটিপি এখনো অসম্পূর্ণ। তাই সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় ট্যানারিমালিকেরা এখানে সাত–আট হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরও লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ পাচ্ছেন না। এখন প্রায় ২০টি ট্যানারি এই সনদ পাওয়ার মতো অবস্থায় থেকেও এ ব্যাপারে আবেদন করতে পারছে না। এলডব্লিউজি সনদ পেলে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে যে দরে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে, এর প্রায় তিন গুণ বেশিতে বিক্রির সুযোগ হবে।
অন্যদিকে সিইটিপি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত একাধিক কর্মকর্তার দাবি, এবার ট্যানারি থেকে উৎপাদিত কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।